১১ অক্টোবর বিশ্ব ডিম দিবস
ডিমের প্রোটিন উৎকৃষ্ট মানের, এতে মিনারেল ও ভিটামিনসমূহের পরিমাণ অন্য যেকোনো খাবারের তুলনায় সামগ্রিকভাবে বেশী, কম ক্যালরিযুক্ত, রোগ ও বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন, স্বল্প মূল্যে সকল সময়ে সহজলভ্য এবং সহজ সংরক্ষণ ও রান্না উপযোগী হওয়ায় কার্যত এটি একবিংশ শতাব্দির সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম জনগোষ্ঠি গড়ে তোলার জন্য একটি সম্পূর্ণ খাবার সম্বলিত অধিক কার্যকর ‘নিউট্রিয়েন্ট পিল’।
ডিম থেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ জীবের অবয়ব তৈরী হয়। সংগত কারণেই এটি সকল বিবেচনায় সম্পূর্ণ বোয়ো-এলিমেন্ট সম্পন্ন সুষম বায়োমিক্স তথা খাবার। বিজ্ঞান নির্ভর তথ্য দ্বারা গণমানুষের মধ্যে নিয়মিত ডিম খাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এতদসত্ত্বেও কিছু মানুষের কাছে এখনো ডিমের কুসুম নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি রয়েছে।
একটি ডিমে মোট আমিষ ৬.১ গ্রাম, যার মধ্যে কুসুমে রয়েছে ২.৭ গ্রাম; ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর সম্পূর্ণটাই থাকে কুসুমে; মিনারেলের মধ্যে ফসফরাস ও জিঙ্ক প্রায়ই পুরোটা, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের মেজর অংশই থাকে ডিমের এ হলুদ অংশে। শুধু তাই নয়- কুসুমে অবস্থিত আয়রন হিম পদ্ধতিতে থাকে যা অতি দক্ষতার সাথে ন্যূনতম সময়ে রক্তের লোহিত কণিকা গঠনের জন্য হিমোগ্লোবিন তৈরী করতে সক্ষম।
ও! ফ্যাট?!!!
কুসুমে ৪.৫ গ্রাম ফ্যাটের মধ্যে ২.৯ গ্রামই মনো এবং পলি আনসেসুরেটেড ফ্যাট যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় গুড ফ্যাট অর্থাৎ উপকারী চর্বি। অপকারী রয়েছে মাত্র ১.৬ গ্রাম। কিন্তু উপকারীর পরিমাণ বেশী থাকায় অপকারী চর্বি কোন ক্ষতি করতে পারেনা বরং অন্য খাবার থেকে খারাপটির আধিক্য ঘটলে ডিমের ভালটি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
প্রকৃতির দর্শনও তাই, রঙ্গিন খাবার মানেই বাড়তি কিছু!
শাকই হোক!!
আর ফলই!!!
উপরে বর্ণিত গুণাগুণের জন্যই কুসুমের বাড়তি রঙ্গ।
হলুদ!
তার মেহমানকে আকৃষ্ট করাই ছিল ক্রিয়েটরের ইনটেনশন।
কারো ইগনোরেন্স দ্বারা প্রকৃতির এতবড় বার্তাকে ঢাকা যায়না।
বিশ্ব ডিম দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আজ চট্টগ্রামে আয়োজিত উৎসবের মূল ফোকাসই ছিল ডিমের হলুদ অংশ।
প্রধান অতিথি সন্মানিত সিটি মেয়র জনাব আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন মহোদয় হলুদ গেঞ্জি পরে ডিমের সেই হলুদ অংশ খেয়েই দিবসটির যথার্থতা মূর্ত করে জানান দেন-
আমরা সত্যিই প্রকৃতির ভাষা বুঝি!
---------ডাঃ মোঃ রেয়াজুল হক, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, চট্টগ্রাম।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS